ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

দেশের স্বার্থে প্রত্যেককেই প্রযোজ্য ক্ষেত্রসমূহে আয়কর প্রদানের আহ্বান

_picঅনলাইন ডেস্ক:::

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রত্যেককেই প্রযোজ্য ক্ষেত্রসমূহে আয়কর প্রদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন । আয়কর মেলা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামী কাল থেকে আয়কর মেলা শুরু হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, করদাতাগণ যথার্থভাবে কর প্রদান করলেই ‘সমৃদ্ধির সোনালী দিন, আনতে হলে আয়কর দিন’ এই স্লোগান সার্থক হবে। যে সকল সম্মানিত করদাতা এ বছর দীর্ঘমেয়াদী ও সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে পুরস্কৃত হচ্ছেন, তাদের তিনি উষ্ণ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে আগামী ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত দেশব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মেলা উপলক্ষে তিনি দেশের করদাতাসহ কর আদায় ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার বিগত সাত বছর ধারাবাহিকভাবে ছয় শতাংশের ওপরে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, দারিদ্র্যের হার ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, শিক্ষা ও আর্থ-সামাজিক খাতে প্রভূত উন্নয়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হয়েছে। ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত হতে সরকার বাস্তব ও জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে অর্থের পাশাপাশি সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য।
তিনি বলেন, রাজস্ব জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ। সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা রক্ষা, সরকারের বাজেট পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রাজস্ব আয়কর, মূসক (ভ্যাট), সম্পূরক শুল্ক ও আমদানি শুল্ক থেকে আসে। রাজস্ব গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশে নানা কারণে কর ও রাজস্ব প্রদান সংস্কৃতি পুরোপুরি গড়ে উঠেনি। ফলে কর ও রাজস্ব আহরণে সরকারকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। কর প্রদানে জনগণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি কর প্রদান পদ্ধতি সহজীকরণ করতে সরকার ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলার প্রবর্তন করেছে।
তিনি বলেন, আয়কর মেলার সুফল হিসেবে দেশে ইতোমধ্যে কর-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ফলে রাজস্ব আহরণ আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও ঢাকাসহ সকল বিভাগীয় শহরে ১ থেকে ৭ নভেম্বর ৭ দিন, জেলা শহরগুলোতে ৪ দিন এবং প্রথমবারের মত ২৯টি উপজেলায় স্থায়ী আয়কর মেলা এবং ৫৭টি উপজেলায় ১ দিন ভ্রাম্যমান আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ মেলা করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করবে এবং তারা নির্বিঘ্নে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর মেলার আয়োজন করে কেবল কর সংস্কৃতিতেই নয়, জাতীয় সংস্কৃতিতেও একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

পাঠকের মতামত: